শান্তিনিকেতন

বীরভূমের বোলপুরে
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ
একটা বাড়ি তৈরি করিয়েছিলেন -
নাম রেখেছিলেন শান্তিনিকেতন
চারদিকে সবুজে ভরা মাঠ
আর দোয়েল,কোকিলের ডাক -
ভেবেছিলেন এইখানে তাঁর
ধ্যানসাধনা পূর্ণতা লাভ করবে ;
হোয়েওছিলো তাই - তাঁর ঈশ্বরবাদী চিন্তাধারা পূর্ণতাপ্রাপ্ত
হয়েছিল এখানে , আর বোধহয়
তারই ফলস্বরূপ শুরু হলো রবিঠাকুরের পাঠশালা -
পরবৎসর স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর প্রয়াণ হলে রবীন্দ্রনাথ বাস করতে
শুরু করেন সেখানে
মাত্র চারজন ছাত্রকে নিয়ে শুরু হওয়া মুক্তাঙ্গন পাঠশালা খুব অল্প
সময়ের মধ্যেই পরিণত হয়েছিল বিদ্যালয়ে ও তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ে , তার শ্রেণীকক্ষগুলি এখনো মুক্তাঙ্গনেই
রয়েছে , সেখানকার শিক্ষাদান ব্যবস্থাও মুক্ত
রবীন্দ্রনাথের ছোটছেলে শমীন্দ্রনাথের নামে এখানে একটি
লাইব্রেরি আছে ,তাঁর  অকালপ্রয়ানে এক বিরল প্রতিভাধরকে বাঙালি হারিয়েছে
অনেকেই এমনটা বিশ্বাস করেন
এখানকার শিক্ষকদের মধ্যে যেমন ছিলেন নন্দলাল বসু ,
রামকিঙ্কর বেইজ
তেমনি কৃতি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, ঋত্বিক ঘটক প্রমুখরা
কবিগুরুর ইচ্ছেয় এখানে শুরু হয়েছিল পৌষমাসে পৌষমেলা ও
দোলে বসন্ত উৎসব
বিশ্বকবির আর সকল সৃষ্টির মতো শান্তিনিকেতন আজও তার  বিদ্যা, রূপ,রস,গন্ধ বিতরণ করে
চলেছে আপামর বাঙালি, ভারতীয় তথা বিশ্ববাসীর কাছে