কোন রত্ন কখন পড়বেন, কাজ, মন্ত্র, শোধন

কোন রত্ন কখন পড়বেন

গ্রহ

রত্ন

ধাতু

বার

আঙুল

রবি

চুনি

সোনা

রবিবার

অনামিকা

চন্দ্র

মুক্তো

না/রূপা

সোমবার

তর্জনী

মঙ্গল

প্রবাল

না/তামা

মঙ্গলবার

অনামিকা

বুধ

পান্না

সোনা

বুধবার

অনামিকা/কনিষ্ঠা

বৃহঃ

পোখরাজ

সোনা

বৃহঃ

তর্জনী

শুক্র

হীরা

সোনা/প্লাটিনাম

শুক্রবার

মধ্যমা

শনি

নীলা

রূপা/সোনা

শনিবার

মধ্যমা

রাহু

গোমেদ

রূপা/সোনা

শনিবার

মধ্যমা

কেতু

বৈদূর্য

রূপা/সোনা

মঙ্গলবার

কনিষ্ঠা

 

রত্ন কিভাবে কাজ করে
প্রত্যক্ষভাবে  = রঙ,  রশ্মি, স্পর্শ, স্পন্দন ও দ্রব্যগুণ দ্বারা পরোক্ষভাবে = দেহ-মন-চৈতন্যকে প্রভাবিত করে শুভকর্ম প্রচেষ্টা দ্বারা আত্মবিশ্বাস ও আত্মবিকাশের মাধ্যমে।  
রত্ন + কর্ম=সাফল্য 

গ্রহ রত্ন ধারণ মন্ত্র

গ্রহ ও:

রত্ন 

 ধারণ মন্ত্র

রবি

 চুনি

 ওঁ হ্রীং হ্রীং সূর্যায় নমঃ

চন্দ্র 

 মুক্তো 

ঔঁ ঐঁ ক্লীং সোমায় নমঃ

মঙ্গল

প্রবাল

ঔঁ হূং  শ্রীং মঙ্গলায় নমঃ

বুধ 

পান্না  

ঔঁ ঐং স্ত্রীং  শ্রীং বুধায় নমঃ

বৃহঃ 

 পোখরাজ 

 ঔঁ হ্রীং ক্লীং  হূং বৃহস্পতয়ে নমঃ

শুক্র

হীরা  

ঔঁ হ্রীং শুক্রায় নমঃ

শনি 

নীলা

ঔঁ ঐং হ্রীং শ্রীং শনেশ্চরায় নমঃ

রাহু

গোমেদ 

ঔঁ ঐং হ্রীং রাহবে নমঃ

কেতু

বৈদূর্য 

ঔঁ হ্রীং ঐং কেতবে নমঃ

   
রত্ন শোধন কিভাবে করবেন
প্রচলিত রত্ন শোধন পদ্ধতিতে (ক্ষারজল, লেবুর রস, গোমূত্র ) রত্নের দ্রব্যগুণ নষ্ট করে। ফলে রত্নের কার্য্য ক্ষমতা হারায়। রত্ন শোধন করতে কেবলমাত্র : 
(১) বিশুদ্ধ জলে কয়েক ফোঁটা কাঁচা গরুর দুধ ও  যৎ সামান্য সিদ্ধি গুড়ো মেশান। ওই জলে রত্নটি ডুবিয়ে নিয়ে ধারণ করুন। সিদ্ধি গুঁড়ো পাড়ার দশকর্ম দোকানে পাবেন। 
(২) দৈনিক ব্যবহারের সময় আঘাত, ঘর্ষণ, জারক তরল ( সাবান, সোডা, ক্ষার, ক্লিনার, অ্যাসিড)  থেকে সাবধান থাকুন।
(৩) কেবলমাত্র শুদ্ধ ধাতুতে রত্ন বাঁধিয়ে শুভ মুহূর্তে ধারণ করুন।
(৪) নারী ও পুরুষ - সকলেই ডান হাতে, গলায় বা বাহুতে রত্ন ধারণ করতে পারেন।
(৫) বই পড়ে, আন্দাজে বা নিজের ইচ্ছে মতো রত্ন ধারণ করবেন না।
(৬) রত্ন প্রতিকারের জন্য সঠিক রত্ন, রত্নের সঠিক গুণমান ও রত্নের সঠিক পরিমাণ বিচার করা যথেষ্ট দক্ষতা, মুনশিয়ানা ও অভিজ্ঞতার প্রয়োজন।
(৭) সর্বদা শাস্ত্রজ্ঞ ও অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নিয়ে রত্ন ধারণ করুন।