জীবন মানেই সমস্যা, নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও বাধা-বিঘ্ন। সমস্যা মূলত শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক, আধ্যাত্মিক ও জাগতিক। মানব জীবনে যে কোনও অস্বাভাবিক, অবাঞ্ছিত, বিরূপ ঘটনা বা সমস্যাকে জ্যোতিষ মতে গ্রহবৈগুণ্য, গ্রহদোষ ও বিরূপ গ্রহের ‘কু-প্রভাব’ বলা হয়। সমস্যাগুলো সঞ্চিত কর্মফল জাত। এই কর্মফলই জাতচক্রে প্রতিফলিত হয়। একেই আমরা ভাগ্য, ভবিতব্য, নিয়তি বা অদৃষ্ট বলে জানি ও মানি।
আজকের আধুনিক ভোগবাদী বিশ্বের জটিল জীবনে জেগে ওঠে বিচিত্র সমস্যা, দ্বিধা- দ্বন্দ্ব, জটিলতা, উত্থান-পতন ও জীবন-যন্ত্রণা এত বেশী তীব্র ও গভীর যে জ্যোতিষের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশী করে অনুভূত হচ্ছে । বর্তমানে বহু ধনী ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, রাষ্ট্রনেতা, পেশাদার, খেলোয়াড় ও স্বনিযূক্ত ব্যক্তিরা সবেতন জ্যোতিষ ভাল করেন। আজকের Laptop Computer হাতে আধুনিক জ্যোতিষী শুধুমাত্র ভাগ্য বক্তা নন, ভাগ্য নির্মাতাও বটে। এজন্য চাই জ্যোতিষে পূর্ণ আস্থা, সঠিক পরামর্শ ও খাঁটি গ্রহরত্ন ।
সমস্যা ও সমাধান
জীবনে সমস্যা যেমন আছে, সমাধানও আছে। অসুখ করলে যেমন ওষুধ খেতে হয়, তেমনি গ্রহদোষ প্রতিকার করতে গ্রহরত্ন ধারণ করতে হয়। জীবন বিমা যেমন সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতি-বিধায়ক, রত্নও তেমনি ভাগ্য ফেরানোর ভিটামিন জীবনে নেমে আসে সমস্যাগুলো এক বা একাধিক গ্রহের কু-প্রভাবে হতে পারে। কোনওটি সরল ও সহজসাধ্য, আবার কোনওটি জটিল ও দুঃসাধ্য এবং চূড়ান্ত বিড়ম্বনার কারণ হয়। কোন গ্রহের প্রভাবে কি ধরণের সমস্যা হয়, জানা থাকলে সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাওয়া সহজ হয়। সে কারণে কোন গ্রহ বিরূপ হলে কি ধরণের সমস্যা হয়, তার একটা সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরলাম।