ভূমিকা

জ্যোতিষ ভারতের প্রাচীনতম শাস্ত্র। মহত্তম জ্যোতিষ শাস্ত্রকে বেদের চক্ষু স্বরূপ বলা হয়েছে। অথর্ব-বেদ, অগ্নিপুরাণ, বৃহৎ সংহিতা, তন্ত্রসার, চরক সংহিতা ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র সহ বহু প্রাচীন ও প্রামাণ্য আকর গ্রন্থে এবং প্রজ্ঞাবান মুনি-ঋষিদের শাস্ত্রীয় বচনে জ্যোতিষের মানব কল্যাণকারী ভূমিকার কথা, ব্যবহারিক উপযোগিতা এবং জাগতিক সমস্যার সমাধানে জ্যোতিষীয় পরিষেবা, গ্রহদোষ প্রতিকার এবং রত্ন ধারণের কথা বারংবার স্বীকার করা হয়েছে। সমস্যা জর্জরিত, আর্ত, বিভ্রান্ত, হতাশ ও বিপর্যস্ত মানুষের কল্যাণে জ্যোতিষী একনিষ্ঠ সেবা ব্রতী ও সাধক। উদভ্রান্ত ও দিশা হীন মানুষকে পরামর্শ, পূর্বাভাষ, প্রেরণা ও প্রতিকার দিয়ে, শুভকর্ম ও ঐশী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে, মানুষের সার্বিক কল্যাণই জ্যোতিষ ও জ্যোতিষীর মূল প্রেরণা ও একমাত্র সার্থকতা। জীবনের জটিল যাত্রা পথে জ্যোতিষী একজন যথার্থ পথপ্রদর্শক। এক কথায় বলা যেতে পারে - Friend, Philosopher and Guide. 

আ নো  ভদ্রঃ ক্রতবো যন্তু বিশ্বতঃ।  – ঋগ্বেদ
Let Noble Thoughts Come To Us From Every Sides.  – Rig Veda