যীশুখ্রীষ্ট

দুহাজার বছরেরও 

বেশি সময় আগে-

 জেরুসালেমে যেদিন তুমি জন্মগ্রহণ করেছিলে,

 কয়েকজন ঋষি -

 আকাশের তারাদের অনুসরণ করে,

 তোমাকে দেখতে এসেছিলেন-

 মা মেরির কোলে সদ্যজাত দেবশিশু যীশুখ্রীষ্টকে।

 

গোয়ালের আঁতুর ঘর থেকে বেরিয়ে,

 তোমার বেড়ে ওঠার সাথে সাথে,

 ঐশ্বরিক মানবপ্রেমের সুগন্ধ 

ক্রমশঃ ছড়িয়ে পড়তে থাকে পৃথিবীতে,

 জেরুসালেম-প্যালেস্টাইন এর 

বাতাসে ভর করে।

 

এরপর শিষ্য জুটতে থাকে 

একজন- দুজন করে -

 তাদের সঙ্গে নিয়ে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে,

 শহর থেকে শহরান্তরে,

 ঘটতে থাকে তোমার 

আধ্যাত্মিক শক্তির আত্মপ্রকাশ।

 সমাজ তোমাকে বরণ করে নেয় 

মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে 

সংযোগস্থাপনকারী দেবদূতরূপে।

 

ধর্মযাজকেরা এই কঠিন সত্যকে 

ভালো মনে নেয়নি -

 তারা রাজশক্তিকে তোমার সম্পর্কে ভুল বুঝিয়ে 

অপরাধী সাব্যস্ত করে তোমাকে।

 তোমার নিকট-

শিষ্য পিতরদের সহায়তায়,

 বন্দী করে তোমাকে ক্রুশবিদ্ধ করে।

 

এর তিনদিন পরে -

 অপরাধবোধে বিদ্ধ পিতররা,

 ক্রুশ থেকে তোমাকে মুক্ত ক'রে,

 তোমার ক্ষতস্থানে ওষুধের প্রলেপ দিয়ে,

 বাঁচিয়ে তোলেন তোমাকে -

 কেউ কেউ বলেন-

 "ক্রুশবিদ্ধ অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তোমার "।

 

খ্রীষ্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের 

মূল সাত টি বাণী,

 তোমার ধর্মমতের সারকথা 

বলে গৃহীত হয়।

মানুষ তোমাকে মনে রেখেছে-

 তাদের সত্যি করেই ভালোবাসতো 

এমন একজন হিসেবে।

 আমাদের পাপন্থালন করেছো তুমি,

ঈশ্বরের কাছে আমাদের হয়ে ক্ষমা চেয়ে-

 মানুষরূপী ঈশ্বরের অবতার।