রিভলভার-এর খাপের
ভেতর থেকে বেরিয়ে এল
তোমাকে লেখা একটা চিঠি।
অনেক পুরোনো কাগজে-
ময়লা,
কালো মুক্তিযুদ্ধের পিঠোপিঠি।
চোদ্দনম্বর রেজিমেন্টের
তাঁবু থেকে লেখা,
যখন বুকের পাঁজর
যাচ্ছে সরে।
উঁচু পাথরে বসে
আমি তখন একা,
উড়ে যায় চিল
বেগে সচকিত করে।
কেমন আছো তুমি
- অরুণিমা!
বাড়িতে বিকেলে
বাঁধছ বুঝিবা চুল।
জানালার ধারে
আকাশ বাঁধেনি সীমা,
বিধাতা আমার বাঁচায়
ধরেছে ভুল।
ফ্যাকাশে পৃথিবী
শুষেছে রক্ত,জল
শুকনো বাতাস
নিচ্ছে খবর গাছের,
খুঁজে কি কখনো
দেখেছ তুমি অতল,
আমার কথা
এখনো কি মনে আছে?
এ নিয়ে ভাবিনা
পরে যদি থাকি বেঁচে,
হয়তো আবার
কখনো বা দেখা হবে।
ভালো তুমি থেকো -
যে পথে এসেছি যেচে .....
নিয়তির বিধি ভেঙেছে
কে, কোথা, কবে?
যদি কোনোদিন শোনো
আমি আর নেই,
মেয়াদ শেষে
জারি হয়ে ডিক্রী।
দুঃখ পেয়োনা
কোনো কিছু নয় স্থায়ী,
কোমরে আমার গোঁজা
নট, নট, খ্রী।