চৈতন্যদেব

হরিসভার মাঠের পাশ দিয়ে যেতে যেতে,

 শোনা গেলো হরিনামের সংকীর্তন।

 মনে পরে গেলো মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের কথা,

 ঠাকুর শ্রীকৃষ্ণের অবতার।

 

1484 সনে (মতান্তরে 1486) 

নবদ্বীপে জন্ম তাঁর।

 ছেলেবেলা থেকেই 

পড়াশোনায় ভালো 

ছিলেন নিমাই।

 স্বনামধন্য সংগীতজ্ঞের কাছে 

সংগীতশিক্ষা হয়েছিল তাঁর।

 সাংখ্য, তত্ত্ব, দর্শন প্রভৃতি শাস্ত্রেও 

ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ।

 অল্পবয়সেই পরিণত নিমাই 

টোলের পন্ডিত হন।

 তবে অহংকারী ছিলেন বলে 

লোকে তাঁর সঙ্গে বিশেষ মিশতনা।

 অল্প বয়সেই সুরূপা লক্ষীদেবীর 

সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়।

 কৃষ্ণভক্ত নিমাই রাধাভাবে 

শ্রীকৃষ্ণের সাধনভজন করতেন।

 

কিছুকাল পরে সাপের কামড়ে

লক্ষীদেবীর মৃত্যু হলে,

 বাড়ির লোক তড়িঘড়ি 

বিষ্ণুপ্রিয়াদেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ দেয়।

 কিন্তু কৃষ্ণপ্রেমে নিবেদিতপ্রাণ নিমাই অচিরেই গৃহত্যাগী হন।

 দুচারজন অনুগামীর সঙ্গে তিনি 

বৃন্দাবনের পথে যাত্রা করেন।

 

রাধাভাবে ভাবিত নিমাইঠাকুর 

তাঁর অনুগামীদের নিয়ে করতেন হরিনাম,

 মস্তকমুন্ডিত হয়ে তিনি চৈতন্যদেব 

নামাঙ্কিত হন।

সদলবলে তিনি পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে 

যাত্রা করতেন।

 

শ্রীকৃষ্ণের আচারানুষ্ঠানে নাচ ও নামগানে 

সারা বাংলা মুখর করে তোলেন তিনি।

 

তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন মত

প্রচারিত হয়ে থাকলেও,

 একথা সকলেই বিশ্বাস করেন-

 প্রাণত্যাগের পরে 

মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব,

 ঈশ্বরের আবহে লীন 

হয়ে গিয়েছিলেন।